আসল অলিভ অয়েল চেনার উপায়? খাঁটি তেল চেনার কিছু উপায় জেনে নিন

 

আসল অলিভ অয়েল চেনার উপায়

আসল অলিভ অয়েল চেনার উপায়,ত্বকের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো,চুলের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো,মুখে অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম,অলিভ অয়েল তেলের অপকারিতা,আজ আমরা এই আর্টিকেল গুলোর মধ্যে যে বিষয়গুলো নিয়ে বলতে যাচ্ছি

আসল অলিভ অয়েল চেনার উপায়?খাঁটি তেল চেনার কিছু উপায় জেনে নিন

** অলিভ অয়েল এর ক্ষেত্রেও আপনি কোকোনাট অয়েল এর মত ফ্রিজে টেস্ট করতে পারেন। এক্ষেত্রে অলিভ অয়েল একটি পাত্র নিয়ে দুই ঘণ্টার জন্য ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। দুই ঘন্টা পর যদি দেখেন অলিভ অয়েল জমে শক্ত হয়ে গেছে অথবা লিকুইড আছে তাহলে আপনার অলিভ oil খাঁটি নয়। যদি দেখেন যে এটি হালকা জমে গেছে অথবা ঘন হয়ে গেছে তবে বুঝবেন আপনার  oil খাঁটি।

**দ্বিতীয় আরেকটি টেস্ট করতে পারেন অলিভ অয়েল কোন পাত্রে নিয়ে এর উপরে আগুন জ্বালিয়ে দেখবেন ।যদি অলিভ অয়েল কোন ধারায় পড়তে শুরু করে তবে আপনার অলিভ অয়েল খাটি। আরো বিস্তারিত জানতে পোস্ট টি  সম্পূর্ণ পড়ুন ...


যারা আমার মত দৈনন্দিন কাজের ব্যস্ততায় চুলের যত্ন করার সময় পান না অথবা যেটুকু সময় পান তাও মাথায় প্যাক লাগিয়ে বসে থাকতে ইচ্ছা করে না তাদের একমাত্র সম্বল হলো তেল। তেল আমাদের চুলকে গ্রোথ করতে অনেক সাহায্য করে।

তেল আমাদের মাথার স্কাল্পে পুষ্টি যোগায় এছাড়া তেল চুলের ভেতরে ঢুকে চুলের সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। যার ফলে চুল পড়া এবং ভাঙ্গা অনেক কমে যায়। যেমনটি এখন আমার চুল টিকে আছে হেয়ার অয়েলের গুনে।

কিন্তু খাঁটি তেল না ব্যবহার করতে পারলে চুলের উন্নতি না হয় অবনতি হবে। তাই আমাদের অবশ্যই খাঁটি তেল চিনতে হবে।

অনেকেই তাদের চুলে ব্যবহারের জন্য কোট করে বাজার থেকে সেটেল সম্পর্কে না জেনে শুনে তেল কিনে নিয়ে আসেন এবং ব্যবহার করেন। কিন্তু তাদের চুলের উন্নতি না হয়ে বরং অবনতি হয়। উড়িতে টাকা গুলো তাদের জলে যায়।

বর্তমানে আমরা ইউটিউবে অনেক ম্যাজিক হেয়ার অয়েল এর রেসিপি দেখতে পাই একজনের উপকার হচ্ছে আবার অন্যজনের কোন উপকারী হচ্ছে না। তেল কতটা খাঁটি তার উপরে কিন্তু এইসব বিষয়ে নির্ভর করে।

এখন অনেকেই আগে প্রশ্ন করবেন আসল অলিভ অয়েল চেনার উপায় এবং কিভাবে বুঝব যে কোন তেল টা খাঁটি ?

আজকে আমি আমার এই পোস্টটি আপনাদের বলব কিভাবে বুঝবেন কোন তেল তা খাঁটি। তাহলে চলুন আমরা জেনে নি এমন কিছু সহজ উপায় যা থেকে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন চুলের যত্নে যে দলটি পরম বিশ্বাসে তুলে নিচ্ছেন তা আসলে কতটুকু খাঁটি। নিম্নে কয়েকটি আসল অলিভ অয়েল চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হল।

১. কোকোনাট অয়েল

**আমাদের ভিতরে সাধারণত অনেকেই কোকোনাট অয়েল ব্যবহার করে থাকি। সভাপতি আমরা সবাই জানি যে কোকোনাট অয়েল ঠাণ্ডায় জমে যাই। খাঁটি কোকোনাট অয়েল চেনার এটি একটি বড় উপায়। 

কোকোনাট অয়েল খাঁটি কিনা সেটি পরীক্ষা করার জন্য কোকোনাট অয়েল 30 মিনিটের জন্য ফ্রিজে রেখে দিতে হবে এবং দেখতে হবে যে কোকোনাট অয়েল টি পুরো জমে গেছে কিনা। কোকোনাট অয়েল কি যদি পুরোপুরি জমে যায় তাহলে আপনি বুঝবেন যে এই তেলটি খাঁটি।

**খাঁটি কোকোনাট অয়েল একদম ওয়াটার কালার হয়। যদি আপনি তেলের রং হালকা হলুদ গ্রে কালার দেখতে পান তাহলে বুঝবেন এটি ক্যামিক্যাল যুক্ত।

**পিওর কোকোনাট অয়েল এ কোন ধরনের গন্ধথাকবে না এতে হালকা ধরনের নারিকেলের গন্ধ থাকবে।


২. আমন্ড অয়েল

**আমন্ড অয়েল 100% খাঁটি কিনা তা বোঝার জন্য তেমন কোন পদ্ধতি নেই বললেই চলে. তবে খাটে আমন্ড অয়েল পেতে বোতলের গায়ে সার্টিফাইড অর্গানিক লেখা আছে কিনা চেক করে নেবেন।

**আমন্ড অয়েল কেনার সময় দেখে নিবেন ওএলটি কল্ড প্রেসড পদ্ধতি তৈরি কিনা।

৩. অলিভ অয়েল 

** অলিভ অয়েল এর ক্ষেত্রেও আপনি কোকোনাট অয়েল এর মত ফ্রিজে টেস্ট করতে পারেন। এক্ষেত্রে অলিভ অয়েল একটি পাত্র নিয়ে দুই ঘণ্টার জন্য ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। দুই ঘন্টা পর যদি দেখেন অলিভ অয়েল জমে শক্ত হয়ে গেছে অথবা লিকুইড আছে তাহলে আপনার অলিভ oil খাঁটি নয়। যদি দেখেন যে এটি হালকা জমে গেছে অথবা ঘন হয়ে গেছে তবে বুঝবেন আপনার  oil খাঁটি।

**দ্বিতীয় আরেকটি টেস্ট করতে পারেন অলিভ অয়েল কোন পাত্রে নিয়ে এর উপরে আগুন জ্বালিয়ে দেখবেন ।যদি অলিভ অয়েল কোন ধারায় পড়তে শুরু করে তবে আপনার অলিভ অয়েল খাটি।


 আসল অলিভ অয়েল চেনার উপায়--চুলের জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো?

চুলের যত্নে সাধনতত্ত্বের সবচেয়ে উপকারী সেটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু চুলের জন্য কোন তেল গুলো বেশি উপকারী সেগুলো অনেকে জানেন না। নিচে চুলের যত্নে যেসব তেল খুব উপকারী এবং আসল অলিভ অয়েল চেনার উপায়  সেই গুলো সম্পর্কে ধারণা দেয়া হলো:

নারিকেল তেল:

নারিকেল তেল স্বাভাবিকভাবেই ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক প্রতিরোধ এবং কোমল রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে ভার্জিন কোকোনাট অয়েল থেকে কোনরকম প্রদাহ হয় না ফলে চুল ওঠার সমস্যা থাকলে এই oil সবচেয়ে ভালো। নারিকেল তেল মশ্চারাইজার হিসেবেও খুব ভালো এবং চুলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।

আমন্ড অয়েল:

আমন্ড অয়েল খুবই হালকা তেল। এই তেলটা খুবই হালকা এবং একেবারেই ছিপছিপে নয়। আমন্ড অয়েলের ভিটামিন-ই প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এই তেলটি চুলে পুষ্টি যোগায় চলে আদ্রতা ধরে রাখে এবং চুল মজবুত ও ঝলমলে করে তোলে।

অলিভ অয়েল:

অলিভ অয়েল তেল কি পর্যাপ্ত এসেন্সিয়াল ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা স্কাল্পকে পুনরুজ্জীবিত করে চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগায় এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই হেয়ার অয়েল থেকে পর্যাপ্ত মশ্চারাইজার রয়েছে এবং ভিটামিন রয়েছে যা চুলের বৃদ্ধির জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। আইটেল এ অলিক এসিড রয়েছে যা খুব সহজেই চুলের গভীরে প্রবেশ করে আর্দ্রতা ধরে রাখে।

ক্যাস্টর অয়েল:

যাদের অত্যাধিক চুল ওঠে তাদের শরীরে সাধারণত প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন বাপি gd2 হরমোনের আধিক্য থাকে। গবেষণা বলছে ক্যাস্টর অয়েলে উপস্থিত একটি উপাদান দিয়ে এ হরমোনটি কে দমন করা যায় ফলে চুল পড়া বন্ধ হয় চুলের বৃদ্ধি ভালো হতে শুরু করে।

আসল অলিভ অয়েল চেনার উপায়--ত্বকের যত্নে  জন্য কোন অলিভ অয়েল ভালো?


আমরা সবাই জানি ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অয়েল। তবে অলিভ অয়েল এর উপকারিতা এবং অপকারিতা দুইটা লক্ষ্য করা যায়। মুখে অলিভ অয়েল ব্যবহারের ক্ষেত্রে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

সাধারণ যে অলিভ অয়েল গুলো পাওয়া যায় ছেলে ভেজিটেবল অয়েল অথবা রাসায়নিকের মিশ্রণ থাকে। এই সাধারন অলিভ অয়েল মুখে ব্যবহার করলে উপকার এর থেকে অপকারই বেশি হবে। এর তুলনায় এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল অনেক বেশি উপকারী এন্টিঅক্সিডেন্ট এর মত উপকারী উপাদান সমৃদ্ধ।

ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল এর উপকারী দিক বলতে গেলে বলতে হয় যে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার বা শুষ্ক রাখতে ত্বকের কোষ কি সুন্দর সজীব ও সতেজ রাখতে ত্বকের ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস নিরাময়ে ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখতে অলিভ অয়েল এর গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি।

এই অলিভ অয়েল এক্সফোলিয়েটর হিসেবেও দারুন কাজ করে।সমপরিমাণ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল অনুন একসঙ্গে মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে ত্বকের উপর ধীরে ধীরে আলতোভাবে মেসেজ করলে ত্বকের অনেক উপকার পাওয়া যায়।এই জন্য আগে  আসল অলিভ অয়েল চেনার উপায়  জানতে হবে। 

বর্তমানে দোকানে যেয়ে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল দেখা যায় তাই অধিকাংশেই ভেজাল বা দুই নম্বর। ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় পাওয়া গেছে বাজারের এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্রান্ডের অনেকাংশেই ভেজাল।


আরে অলিভ অয়েলের ভেতরে ভেজাল হিসেবে দেওয়া হয় বিভিন্ন প্রকারের যেমন সোয়াবিন তেল বাদাম তেল পাম অয়েল কখনো কখনো আবার ফিশ অয়েল দিয়ে থাকেন। ভেজালমুক্ত আসল এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের দাম দোকানে যেসব অলিভ অয়েল পাওয়া যায় তার চাইতেও বহুগুণে বেশি।

অলিভ অয়েলের দাম বেশি হওয়ার কারণ হলো যত দিন যাচ্ছে ধীরে ধীরে অলিভার জলপাইয়ের তার আশপাশে যার ফলে অর্গানিক ফার্ম এর সংখ্যা কমছে। আরেকটি কারণ হচ্ছে অলিভ অয়েল এর গুনাগুন সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়া এর চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে চাহিদা আর উৎপাদনের ভেতরে বিশাল তারতম্য থাকায় দামও বহুগুণ বেড়ে চলেছে।

এইসব কারনেই আমি বলব ভেজালমুক্ত বা খাঁটি অলিভ অয়েল জোগাড় করতে পারলে ত্বকের জন্য অবশ্যই ব্যবহার করুন। কিন্তু দোকানে বা বাজারে পাওয়া অলিভ অয়েল খাঁটি কিনা এটা নিশ্চিত না হওয়া মুখে মাখবেন না ।বাচ্চাদের মেসেজের জন্য বাজারে প্রচলিত অনেক অলিভ অয়েল পাওয়া যায়। 

এগুলো থেকে ভালোবাসা টি অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন তবে অবশ্যই সেটির উপকরণে তালিকাটি করে নেবেন। সঠিক অলিভ অয়েল দিন না বেসে মুখে ব্যবহার করলে আপনারা উপকারে থেকে অপকারই বেশি পাবেন। সেজন্য অবশ্যই  আসল অলিভ অয়েল চেনার উপায় জেনে সঠিক টি বেছে নিবেন।


আশা করি, এই পোষ্ট টি পড়ার মাধমে আপনি আসল অলিভ অয়েল চেনার উপায় কি,কোন অলিভ অয়েল আপনার জন্য ভালো হবে সেই সম্পর্কে জানতে পেরেসেন 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url