কফি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় ? কফি মুখে দিলে কি হয় জেনে নিন
কফি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় ? কফি মুখে দিলে কি হতে পারে আপনার মুখে? কফি দিয়ে ফেস প্যাক ফর স্কিন হোইটেনিং?ব্রণ দূর করতে কফির ব্যবহার? কফির উপকারিতা ও অপকারিতা এই সকল সম্পর্কে এই পোস্টে আমরা বিস্তারিত জানবো ইনশাল্লাহ
কফি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় কি কি ?
কফি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়: আমাদের মধ্যে অনেকে আসেন যারা চা বা কফি খেতে পছন্দ করেন। আপনারা অনেকে জানেন না যে কফি দিয়ে আপনি আপনার শরীলের ত্বক বা মুখের ত্বক পরিস্কার ও সাদা করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে অনেকে আসেন যারা কফি দিয়া ঘরোয়া পদ্দতিতে তাদের ত্বক পরিষ্কার করছেন।
আবার অনেকে আসেন যারা বিভিন্ন কেমিক্যাল কিরিম ব্যবহার করেন। সাধারণত আমাদের ত্বক অনেক কোমল এবং মসৃন নরম হয়ে থাকে। আপনি যদি এই ত্বকের উপর বিষাক্ত কেমিক্যাল কিরিম ব্যবহার করেন এতে করে এটা আপনার ত্বকের জন্য ক্ষতি সাধন করবে।
তাই প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরোয়া পদ্দতিতে কফির মাধ্যম,আপনি আপনার ত্বক কে করতে পারবেন।
কফি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়-কফি দিয়ে ত্বক ফর্সা করার পদ্দতি নিচে দেওয়া হলো:
এই ফেস পেকটি তৈরির জন্য আপনার কফি, দুধ,মদু এবং লেবুর প্রয়োজন হবে।
কফির ফেসপ্যাক বানানোর প্রথম পদ্ধতি:
উপকরণ সমূহ :
প্রথমে দুই থেকে তিন চামচ খাবার কফি নিবেন
তারপর লেবু অথবা লাল পাকা টমেটো নিবেন
এবং আধাকাপ পরিমাণ দুধ নিবেন
দুই চামচ মধু নিবেন এবং দুই চামচ চালের গুঁড়া
ফেস প্যাক তৈরির পদ্ধতি:
শুধুমাত্র আপনার ত্বকে, একবার এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করার সাথে সাথে আপনি উজ্জ্বল এবং ফর্সা ত্বক পেতে পারেন।এবার আসুন এই ফেসপ্যাকটি কে তৈরি করা যাক।
১.প্রথমে আপনি একটি পরিষ্কার পাত্রে 2 চামচ মতন কফি পাউডার নিতে হবে.
২. এক চামচ মতন পরিষ্কার মধু নিতে হবে
৩. এক চামচ পরিষ্কার চালের গুড়া নিতে হবে.
৪. লেবু অথবা লাল পাকা টমেটো নিবেন
৫.আধাকাপ পরিমাণ দুধ নিবেন
এবং সঠিক ও পরিমাণমতো তরল দুধ দিয়ে কফির একটি ঘন মিশ্রণ তৈরী করে নিতে হবে.
তাহলে আপনি এই উপকরণগুলো দিয়ে তৈরি করতে পারবেন কফির এই ফেসপ্যাকটি.
ব্যবহার পদ্ধতি:
আপনার ওই পরিষ্কার মুখে এই ফেসপ্যাকটি কে তোলার মাধ্যমে বা ব্রাশ এর মাধ্যমে আলতোভাবে সম্পূর্ণভাবে মুখে লাগিয়ে নিতে হবে।
লাগানোর সময় ৫ থেকে ৭ মিনিট ফেসপ্যাকটি দিয়ে ভালভাবে মাসাজ করতে হবে আপনার মুখে।
এবং ১৫ থেকে ২০ মিনিট ফেসপ্যাক এর মিশ্রণটি আপনার মুখে ভালোভাবে শুকিয়ে যাওয়ার জন্য সময় দিতে হবে।
এবং ফেসপ্যাকটি ভালোভাবে মুখে শুকিয়ে যাওয়ার পরে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
কফি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সমূহের মধ্যে যায় পদ্দতি গুলা মেনে চললে আপনি খুব তাড়াতাড়ি ফর্সা হতে পারবেন।
কফি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়-কফি মুখে দিলে কি হয়?
মাত্র এক থেকে দুই দিনের ভিতর আপনার ত্বকের গভীর থেকে উজ্জ্বল এবং ফর্সা করে তুলবে।আপনার ত্বকের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণুগুলো এই ফেসপ্যাকটি দূর করে দিবে।
আপনার ত্বকে থাকা কালো দাগ বা মাস্তে সকল কিছু দূর করে দিবে।আপনার ত্বকে কোন মৃত কোষ থাকলে সে কোষগুলো দূর করে দিবে।
আপনার ত্বককে আগের থেকে অনেক কোমল এবং মসৃণ করে তুলবে।
ব্রণ দূর করতে কফি ব্যবহার
ব্রণ দূর করতে কফি ব্যবহার অপরিসীম। কারণ কফি সুদু যা ত্বক পরিষ্কার করা তা না। কফি মুখের ত্বক ও মুখের ব্রণ দূর করা মুখের উজ্জলতা ফিরিয়া না।
যাদের মুখটা বেশি তৈলাক্ত থাকে সাধারণত তাদের ব্রণ সমস্যা বেশি থাকে। তাই তাদের জন্য কফি ফেসপ্যাক টি অনেক কার্যকরী একটা জিনিস।
কফির উপকারিতা ও অপকারিতা
উপকারিতা: কফি মাত্র এক থেকে দুই দিনের ভিতর আপনার ত্বকের গভীর থেকে উজ্জ্বল এবং ফর্সা করে তুলবে। আপনার ত্বকের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণুগুলো এই ফেসপ্যাকটি দূর করে দিবে।
আপনার ত্বকে থাকা কালো দাগ বা মাস্তে সকল কিছু দূর করে দিবে। আপনার ত্বকে কোন মৃত কোষ থাকলে সে কোষগুলো দূর করে দিবে।
আপনার ত্বককে আগের থেকে অনেক কোমল এবং মসৃণ করে তুলবে।
অপকারিতা: কফি যেমন এক থেকে দুই দিনের ভিতর আপনার ত্বকের গভীর থেকে উজ্জ্বল এবং ফর্সা করে তুলবে। তেমনি ভাবে যাদের শরীলে এলাজির সমস্যা আসে। কফি ব্যাবহারে তাদের শরীলের অনেক সমস্যা হতে পারে।
তাই তাদের এলার্জির সমস্যা আসা তারা এই জিনিস থেকে দূরে থাকেন। কফি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সমূহের মধ্যে যে সকল উপকারিতা ও অপকারিতা আসে সকল কিছু মেনে চললে খুব তাড়াতাড়ি ফর্সা হতে পারবেন।
কফি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় কি এই সম্পর্কে আলোচনা করলাম। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনি আপনার সঠিক তথ্য টি পাইসেন ।