এমিবিক আমাশয় কোন অনুজীবের কারণে হয়

 

এমিবিক আমাশয় কোন অনুজীবের কারণে হয়

এমিবিক আমাশয় কোন অনুজীবের কারণে হয় সম্পর্কে এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। সুস্থ শরীর সবারই কাম্য, কারণ সবাই চায় তার শরীর রোগমুক্ত থাকুক। কিন্তু বিভিন্ন কারণে বাইরে বিভিন্ন খাবার খাওয়ার মাধ্যমে আপনার ছেলে ভিতর অনেক লোক প্রবেশ করে থাকে।

আজকে যে রোগটি নিয়ে কথা বলবো এটি মূলত এখন কি সময় অনেক বড় একটি সমস্যা সকলেরই। এমিবিক আমাশয় সাধারণত ক্ষুদ্র পরজীবী কারণে হয়ে থাকে। আশা করি আপনারা যারা এই রোগে ভুগছেন এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি এর সমাধানও প্রতিকার জানতে পারবেন।

এমিবিক আমাশয় কি?

এমিবিক আমাশয় বা এমিবিক আমাশয় কোন অনুজীবের কারণে হয় এ সকল সম্পর্কে এই পোস্টে আমরা জানাতে যাচ্ছি। এমিবিক আমাশয় সাধারণত এটি একটি পেটের রোগ। সাধারণত এই রোগটি এন্টামিবা হিস্টো লাইটিকা নামক পরজীবী থেকে এ রোগটির সৃষ্টি।

সাধারণত ভাবে এন্টামিবা হিস্টো লাইটিকা পরজীবী টি বিভিন্ন ধরনের আকার গঠন করে পানিতে মাটিতে বিচরণ করে থাকে। এই পরজীবী টি সাধারণত ভাবে দূষিত পানি বা অপরিচ্ছন্ন খাবার ইত্যাদির মাধ্যমে আপনার পেটে ঢুকে পড়ে। এবং এই পরজীবী টি আপনার পেটে যাওয়ার পরে এটি আস্তে আস্তে আপনার এমিবিক আমাশয় সৃষ্টি করে।

এমিবিক আমাশয় কোন অনুজীব এর কারনে হয়

এমিবিক আমাশয় কোন অনুজীবের কারণে হয়, এটা সাধারণত পরিপাকতন্ত্রের বৃহদন্ত্রে এন্টামিবা হিস্টো লাইটিকা নামক পরজীবীর আক্রমণে কারণে এমিবিক আমাশয় সৃষ্টি হয়।

এন্টামিবা হিস্টো লাইটিকা পরজীবী টি সাধারণত অপরিষ্কার অপরিষ্কার ও দূষিত পানিতে সৃষ্টি হয়ে থাকে। এবং দূষিত পানি বা অপরিষ্কার খাবার বা অপরিচ্ছন্ন খাবার খাওয়ার মাধ্যমে এটি আমাদের পেটে ঢুকে পড়ে। এন্টামিবা হিস্টো লাইটিকা নামক পরজীবীর কারণে এমিবিক আমাশয় হয়।

এমিবিক আমাশয় কোন অনুজীবের কারনে হয় উত্তর

এখন আমি এমিবিক আমাশয় কোন অনুজীবের কারণে হয় উত্তর সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি। সাধারণত এমিবিক আমাশয় এন্টামিবা হিস্টো লাইটিকা নামক পরজীবীর কারণে হয়ে থাকে।

এটি সাধারণত মানুষ অন্তরের রোগ জীবাণু সংক্রমিত করে থাকে। এই ব্যাকটেরিয়া টি মানব দেহের পরিপাকতন্ত্র আক্রমণ করলে এ রোগটি হয়ে থাকে। সাধারনত এই রোগটি হলে পেটে ব্যথা শ্লেষ্মা ও রক্তসহ পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে। এই রোগটি হওয়ার ফলে পেট কামড়ানো সহ আপনার মলের সঙ্গে পিচ্ছিল বা ছেলসা যুক্ত  রক্ত বের হয়।

সাধারণত ভাবে এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির মল দ্বারা যদি খাদ্য বা পানি দূষণ হয়ে থাকে তাহলে আমাশয় ছড়িয়ে থাকে। তাই অবশ্যই সংক্রমিত ব্যক্তিদের হাত পা ভালোভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখতে হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির মলত্যাগ করার পরে যদি হাত না ধরে তাহলে এই রোগটি ছড়িয়ে যেতে পারে। আমাশয় এর কারনে শরীর থেকে তরল পদার্থ বের হয়ে যায় এবং শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয়।

এমিবিক আমাশয় রোগের লক্ষণ

এতক্ষণ আপনারা এমিবিক আমাশয় কোন অনুজীবের কারণে হয় সেটা অবশ্যই জানতে পেরেছেন। এখন আমরা অ্যামিবিক আমাশয় রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জানব। এই রোগের লক্ষণ হলো হঠাৎ কোন কোন পাতলা পায়খানা হয়।

যদি আপনি এই রোগের চিকিৎসা দেরিতে করেন তাহলে দিনে দশবার মলত্যাগ করার সম্ভাবনা আছে। সংক্রমিত রোগের পেটে ব্যথা রোগীর গায়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। অনেকবার মলত্যাগের কারণে শরীরে পানিশূন্যতা এবং শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। সাধারণত এই রোগটি দুই থেকে পাঁচ বছরে শিশুদের বেশি হয়ে থাকে।

কারণ তারা যখন বাইরে খেলে তখন বিভিন্ন অপরিষ্কার নষ্ট পানি বা দুর্গন্ধ যেকোনো কিছুতে হাত দিয়ে মুখের স্পর্শ করে। তখন এই ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসটি তার পেটে চলে যায়। আমরা প্রায় শিশুদের দেখে থাকি যেকোনো রকম আমাশয় বা মলত্যাগের দিক থেকে শিশুদের বেশি সমস্যা হয়ে থাকে। এমিবিক আমাশয় কোন অনুজীবের কারণে হয় এটা জানার পর হয়তো আপনার শিশুকে সাবধানে রাখবেন।

এমিবিক আমাশয় প্রতিরোধের উপায়

এমিবিক আমাশয় কোন অনুজীবের কারণে হয় সেটা আমরা এই পোস্টে জানতে পেরেছি। এ বার আমরা এমিবিক আমাশয় রোগের প্রতিকার সম্পর্কে জানবো। 

এ রোগটি হলে বারবার মলত্যাগ করা আগে বন্ধ করতে হবে। যেকোনো প্রকার আমাশয় হলে আগে করণীয় হলো খাবার স্যালাইন গ্রহণ করা। খাবার স্যালাইন খাওয়ার পরে রোগীকে অবশ্যই অধিক পরিমাণ বিশ্রাম করাতে হবে।

রোগী জানো দুর্বল এবং পানিশূন্যতায় না ভোগে এইজন্য ঘনঘন খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। রোগীকে প্রচুর পরিমাণ তরল খাবার খাওয়াতে হবে যেমন ঠান্ডা পানি চিনির শরবত ডাবের পানি যেকোনো রকম ফলের রস ইত্যাদি খাওয়াতে হবে।

আর কোন ক্রমে যদি রোগীর অবস্থা ভয়াবহ হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়াতে হবে রোগীকে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের মাধ্যমে পুরোপুরি আমাশয় ঠিক করা সম্ভব। আশা করি এমিবিক আমাশয় কোন অনুজীবের কারণে হয় এটা জানার পর আপনারা  সবাই পরিষ্কার পরিছন্ন থাকবেন , এবং সাবধানতা বজায় রাখবেন।

শেষ কথা 

এমিবিক আমাশয় কোন অনুজীবের কারণে হয়এ সম্পর্কে আশাকরি আমি সঠিক ধারণা টি আপনাদের দিতে পেরেছি। যদি পোস্টটি পড়ে আপনার কোন রকম হেলপ হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই পোস্টটিকে শেয়ার করবেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url