মাশাআল্লাহ এর জবাব কি - মাশাআল্লাহ এর প্রতিউত্তরে কি বলতে হয়
কেউ যদি আপনাকে বলে মাশাল্লাহ এর জবাব কি । মাশাল্লাহ এর প্রতি উত্তরে কি বলতে হয় এই নিয়ে চিন্তিত আছেন? আজ আমরা এই পোস্টে দেখাবো মাশাল্লাহ এর জবাব কি এবং মাশাল্লাহ এর প্রতি উত্তরে কি বলতে হয় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। কেউ যদি আপনাকে বলে মাশাল্লাহ এর জবাব কি এবং মাশাল্লাহ বললে উত্তরে কি বলতে হয় তাই এই পোস্টটি পড়লে আপনি সম্পূর্ণ বুঝতে পারবেন।
মাশাল্লাহ এর জবাব কি - মাশাল্লাহ এর প্রতি উত্তরে কি বলতে হয়
আমরা অনেকে জানি যে সুন্দর কিছু দেখলে আমরা মাশাল্লাহ বলে থাকি। আর আপনাকে পরকালে একটি সুন্দর জীবন পেতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে ইহকালে অনেক বেশি নেকি অথবা সওয়া পাওয়া প্রয়োজন। দৈনন্দিন জীবনে আপনি আপনার কাজের মধ্যেও আল্লাহকে স্মরণ করে বেশি বেশি নেকি আদান করতে পারেন। এজন্য আমাদের সবাইকে আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ মনে করতে হবে।
যেমন আপনি কোন কাজ করতে গেলে অবশ্যই সেটি বিসমিল্লাহ সহকারে শুরু করবেন। এবং সেই কাজটি শেষ হলে আপনি আলহামদুলিল্লাহ বলে আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায় করবেন। সুন্দর কিছু দেখলে অবশ্যই মাশাল্লাহ বলতে হয়। আমার এই মাশাল্লাহ এর জবাব ও উত্তর দিতে হয়। আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা মাশাল্লাহ বললে উত্তরে কি বলতে হয় সেটা অনেকেরই অজানা। এবার মাশাল্লাহ বললে উত্তরে আপনি কি বলবেন আসলে সেটাই জেনে নি।
এখন আমার ও সকলের কাছে একটি প্রশ্ন হল সেটি কিভাবে আল্লাহর ইবাদত করবেন প্রতিটি কাজের মাধ্যমে? আপনারা সকলে কোন কিছু সুন্দর দেখলে অবশ্যই মাশাল্লাহ বলবেন। মাশাল্লাহ বলার মাধ্যমে আপনি আল্লাহর নিয়ামতের প্রশংসা করলেন। এতে করে আল্লাহকে স্মরণ করার সাথে সাথে আপনি অনেক নেকিও আদায় করতে পারলেন।
আবার আপনার মনে একটি প্রশ্ন জাগতে পারে যে কোন কাজ বা কোন সফলতা বা কোন কিছু প্রশংসা করে মাশাল্লাহ বললে এর প্রতিউত্তরে কি বলতে হয়? কেউ যদি মাশাল্লাহ বলে এর জবাব কি জানার জন্য এই পোস্টটি সাথেই থাকুন।
মাশাল্লাহ কখন বলতে হয় - মাশাল্লাহ এর প্রতি উত্তরে কি বলতে হয়-মাশাল্লাহ এর ইংরেজি
আপনাকে যদি মাশাল্লাহ বলতে হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে আগে জানতে হবে যে মাশাল্লাহ এর শব্দের অর্থ কি। মাশাল্লাহ শব্দের অর্থ হলো আল্লাহ এর যা ইচ্ছা হয় তাই করেন। আপনি সাধারণত মাশাল্লাহ তিনটি সময়ে বলতে পারবেন। যেমন: আপনি যদি কারো সফলতা দেখেন, যখন কেউ অনেক ভালো কিছু করবে, আপনি যখন কোন সুন্দর জিনিস দেখবেন।
মাশাল্লাহ বললে আপনার কোন জিনিসের উপর নজর লাগবে না। আপনি যখন মাশাল্লাহ বলবেন তখন শয়তান আপনার প্রিয় জিনিসের উপর কোন খারাপ প্রভাব ফেলতে পারবে না। কেননা মাশাল্লা বলার মাধ্যমে আপনি আল্লাহর প্রশংসা ও নৈকট্য লাভ করবেন।
আপনি হঠাৎ যদি রাস্তায় কোনো সুন্দর ছেলে বা মেয়েকে দেখেন তাহলে অবশ্যই মাশাল্লাহ বলবেন কারণ বাচ্চাদের তাড়াতাড়ি নজর লেগে যায়। এতে করে বাচ্চারা অসুস্থতা থেকে রেহাই পায়। আর অবশ্যই কারো সফলতা দেখলে তার জন্য অবশ্যই আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন যেন সে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।
আপনার সামনে যদি কেউ ভালো কাজ করে মানুষের উপকার করে তাহলে অবশ্যই তার জন্য মাশাল্লাহ বলবেন। এতে করে আল্লাহ তায়ালা উপকারকারীকে আরো ভালো কাজ করার হিদায়েত দান করবেন।
মাশাল্লাহ এর প্রতি উত্তরে কি বলতে হয় - মাশাল্লাহ আরবি লেখা
ধরুন আপনার ঘরে কোন নতুন অতিথি আসলেন। তিনি আপনার ছোট্ট সুন্দর বাচ্চাকে দেখে মাশাল্লাহ বললেন। তখন আপনাকে অবশ্যই এর উত্তরে আলহামদুলিল্লাহ বলতে হবে। আপনার ঘরে আসা অতিথি মাশাল্লাহ বলার মাধ্যমে তিনি আল্লাহর প্রশংসা করলেন। আর আপনি আলহামদুলিল্লাহ বলার মাধ্যমে আপনি আল্লাহর নিয়ামতের প্রশংসা করলেন। এত করে আপনার বাসার অতিথি ও আপনার মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি ইবাদত করা হলো।
এখন হয়তো আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে কোন কিছু সুন্দর দেখলে কারো ভালো কাজ করা দেখলে অথবা সফলতা দেখলে অবাক কংগ্রাচুলেশন না বলে অবশ্যই মাশাল্লাহ বলবেন। আপনি যদি এভাবে আপনার ছোট ছোট কাজের মাধ্যমে আল্লাহর নিয়মিত মনে করেন তাহলে অবশ্যই আল্লাহ আপনার হেদায়েত অনেক গুণ বাড়িয়ে দিবেন।
আমাদের সকলকে মনে রাখতে হবে যে আমরা একদিন সকলে মৃত্যুবরণ করবো এবং সবাই সকলের কর্মের ফল ভোগ করতে হবে। আমরা সবাই যে সুন্দর পৃথিবীতে বসবাস করছি সেটি তৈরি করেছেন মহান আল্লাহ তায়ালা।
আপনার আমার মৃত্যুর মাধ্যমে এক সময় আপনারা আমার প্রিয় জগতে জীবনের সমাপ্তি ঘটবে। এরপরে অবশ্য আপনার আর আমাদের নতুন করে জীবন শুরু হবে সেটি হল পরকাল। আর এই পরকালের জীবন হবে ইহকালের জীবনের থেকে পুরোপুরি আলাদা ভিন্ন। আর আপনি ইহকালে যে কাজ বা ইবাদত করবেন তার ফল অবশ্যই আপনাকে পরকালে জীবনে ভোগ করতে হবে।